আজ (বুধবার, ২৮ আগস্ট) সকাল থেকে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে এলাকাভেদে পানি বেড়ে ৫ ইঞ্চি থেকে প্রায় ১ ফুট করে। মঙ্গলবার রাত ৩টা বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭২ মিলিমিটার।
বন্যা কবলিত উঁচু এলাকায় আগের চেয়ে আরও ৫/৬ ইঞ্চি ও নিচু এলাকায় প্রায় ১ ফুট পানি বেড়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় পানিবন্দি হয়ে আছে ১৯লাখের বেশি মানুষ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলার প্রতিটি উপজেলা যে পরিমাণ খাল দখল হয়েছে সেগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি। যে খালগুলো কিছুটা দখলমুক্ত আছে তার বেশিরভাগ ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরা। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। দখলকৃত খালগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার ও বাকি খালগুলো পরিষ্কার করা হলে বন্যার পানি সেগুলো দ্রুত নেমে যাবে।’
স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনী, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চরএলাহী রিকশা ওয়ালার দোকান এলাকায় খালের মাঝখানে দেওয়া একটি বাঁধের একটি অংশ কেটে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা দিয়ে বন্যার কিছু পানি নামা শুরু করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী জানান, নোয়াখালী খালের মুখে বাঁধা পাওয়ার খালটির একটি অংশ কাটা হয়েছে। সেটি সম্পূর্ণভাবে কাটতে হলে অনেকগুলো বেকু মেশিনের প্রয়োজন হবে যা অনেক সময়ের কাজ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া ও সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ৬৮ জন ও সাপে কাটার রোগী আছেন ২৫ জন। এছাড়া জেলার বন্যাকবলিত ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯৩জন ডায়রিয়া রোগী।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) শারমিন আরা জানান, বন্যায় কবলিত লোকজনকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হচ্ছে। জেলার ১ হাজার ৩০৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। ৫৯৩ মেট্রিকটন চাল মজুদ থাকলেও নগদ অর্থ, শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য কোনো মজুদ নেই।