তাপপ্রবাহে খামারের পশুকে দিনে দুইবার গোসল করানোসহ বেশ কয়েকবার পানি ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না।
খামারিরা বলেন, গরুকে ঠান্ডা রাখার জন্য ২-৩ বার করে গোসল করাইতে হয়। গরম আরও বাড়লে গোসলের পরিমাণ বাড়াইতে হবে। গোসল করাইতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। সেই সাথে গরুকে গ্লোকোজ খাওয়াচ্ছি যাতে ভেতরটা ঠান্ডা থাকে। ২৪ ঘণ্টা গরুর জন্য ফ্যান দিয়ে রাখি।
শুধু গরমের ভোগান্তিই নয় গ্রীষ্মকালে গবাদিপশুর থ্রি ডেস সিকনেস নামক জ্বর এবং লাম্পি স্কিন ডিজিস নামের এক ধরনের পক্স হয়। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে নিয়েও চিন্তিত তারা।
বৈরি আবহাওয়ার হাত থেকে গবাদিপশুকে রক্ষা করতে দেশের খামারগুলোকে নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে খামারিদের জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. শাহিনুর আলম বলেন, 'টিনের চালে পাটের বস্তা বা চট ভিজিয়ে রাখলে ঘরের পরিবেশটা একটু ঠান্ডা থাকবে। গরুর পানি শূন্যতা কমাতে বারবার বিশুদ্ধ পানির সাথে স্যালাইন বা খনিজ লবনযুক্ত করে দিতে হবে। তাহলে এ ঘাটতিগুলো পূরণ হবে।'
তাপপ্রবাহের কারণে দেশে তৃতীয়বারের মতো শনিবার পর্যন্ত হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি মাসের শেষ দিকে আবারও হিট এলার্ট জারি করতে পারে দপ্তরটি।