কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীবটতলা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত পাউবোর জিকে খাল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। সড়কে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর আগে কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছিল উপজেলা বন বিভাগ।
দরপত্রের মাধ্যমে ২০২৩ সালে যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। চলতি বছরেও ওই সড়কের লাহিনীপাড়া থেকে বাঁধবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। একের পর এক গাছ কাটায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় পরিবেশবিদরা। যেকোন মূল্যে গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানায় তারা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আর্থসামাজিক ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বন বিভাগ। তারা প্রথমে স্থানীয়দের নিয়ে এলাকাভিত্তিক সমিতি গঠন করে। পরে বিভিন্ন সড়কের ধারে জ্বালানি কাঠের গাছের চারা রোপণ করে। গাছ দেখাশোনা করেন সমিতির সদস্যরা। গাছের বয়স যখন ১০ বছর পূর্ণ হয়, তখন গাছ কাটা ও বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বন বিভাগ।
গাছ বিক্রির টাকা পান সমিতির সদস্যরা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এবং বন-সড়কসংশ্লিষ্ট বিভাগ। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় এই গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আপাতত গাছগুলো না কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাই আপাতত তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত রাস্তার গাছ কাটছে না বন বিভাগ। সবার হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত থেকে সাময়িকভাবে সরে এসেছে তারা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র বলেন, 'এটা সামাজিক বনায়নের অংশ। টেন্ডার ও ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর স্থগিত করার ক্ষমতা আমাদের নেই। বর্তমানে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের করণে আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গাছ কাটার পর সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুনরায় গাছ লাগানো হবে।'