সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে আসে, নগরে দিনে শুধু ২৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ১৪০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য খাল ও নালা হয়ে সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে নদীতে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের আস্তর, কমছে নদীর গভীরতা। ফলে কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ব্যবহৃত প্লাস্টিকের মধ্যে একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া প্লাস্টিক বন্দরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। শুধু নদীর গভীরতা বাড়াতে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে কর্ণফুলীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হয়েছে। যা বন্দরসহ দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক ড. আসিফুল হক বলেন, ‘আমরা যদি ঠিকভাবে বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে ড্রেজিংয়ের জন্য এই ব্যয় হবে না। একইসঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে।’
এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কর্ণফুলী নদীতে দৈনিক ৭৮৫ টন বর্জ্য মিশছে। জার্মান সরকার ও বাউস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় চুয়েটের কর্মশালায় গবেষকরা বলেন, বন্দরে যেসব জাহাজ আসছে তারাও প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করছে। তবে সেসব বর্জ্য সঠিকভাবে নিষ্কাশন না করলে তা সমুদ্রের পরিবেশে বিরুপ প্রভাব ফেলবে।
এসসিআইপি প্লাস্টিক প্রজেক্টের ডিরেক্টর ড. ফারজানা রহমান জুথি বলেন, ‘প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করতে হবে। আর এটি না করতে পারলে নদীর পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
গবেষকরা বলেন, নদীতে প্লাস্টিক দূষণে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে। তাই বিকল্প চিন্তা করার এখনই সময়।
চট্টগ্রাম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য ও তার সমাধান নিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।