প্লাস্টিক বর্জ্য নিরসনে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক চুক্তি
প্লাস্টিকের উৎপাদন রোধ না করলে আগামী এক দশকে প্লাস্টিক বর্জ্যে ছেয়ে যাবে গোটা বিশ্ব। প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে জাতিসংঘের পঞ্চম ও চূড়ান্ত দফার আলোচনা আজ (২৫ নভেম্বর) সোমবার শুরু হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে। প্লাস্টিক বর্জ্য নিরসনে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে বৈশ্বিক চুক্তি। যা আইনে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছে জলবায়ু কর্মীরা।
পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করা হবে
প্লাস্টিকের বর্জ্যের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করে পলিথিন ব্যাগ। শুধু ঢাকা শহরেই মাসে প্রায় ৪১ কোটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ১০ থেকে ১৩ শতাংশ দায়ি প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর কারণে। অন্তর্বর্তী সরকারে দুই উপদেষ্টা জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও দেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করা সম্ভব। এরইমধ্যে ঘোষণা এসেছে, ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন ক্রেতাদের দেয়া যাবে না।
ঢাকায় দিনে ৬ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য
দেশে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে। ঢাকায় গত ৫ বছরে যেটি বেড়েছে দ্বিগুণহারে। দিনে ৬ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় শুধু ঢাকাতেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুনঃব্যবহার বাড়িয়ে কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত হলেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিতে শীর্ষে থাকতে পারে প্লাস্টিক পণ্য।
বিশ্বের অর্ধেক প্লাস্টিক দূষণে দায়ী ৬০টি কোম্পানি
বিশ্বের অর্ধেক প্লাস্টিক দূষণের পেছনে দায়ী ৬০টি ফার্ম। গবেষণা প্রতিবেদন বলা হয়, যেভাবে প্লাস্টিকের উৎপাদন বাড়ছে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্লাস্টিক দূষণ। দ্য ফাইভ গিরিস ইনস্টিটিউট বলছে, প্লাস্টিক দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে নেসলে, পেপসিকো, কোকাকোলার মতো কোম্পানি।
প্লাস্টিক বর্জ্যে হুমকিতে কর্ণফুলী নদী
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম। যেখানে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে অনেকটাই প্লাস্টিক বর্জ্য। সে চিত্রই ফুটে ওঠে এখানকার নদী-নালা কিংবা খালগুলোর দিকে তাকালে।