আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোট দেন এই নির্বাচন কমিশনার। পরে ভোট কক্ষ থেকে বের হয়ে এখন টিভির সঙ্গে কথা বলেন। বলেন, 'সকাল থেকে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি, চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। কোন প্রকার জাল ভোট কিংবা বিশৃঙ্খলার ঘটনা নেই।'
নির্বাচন কমিশন কোন প্রকার চাপে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, 'আমাদের কাছে কোন প্রকার চাপ নেই। সেটা দেশি হোক বা বিদেশি। অথবা প্রার্থী বা সরকারের। চাপ শুধু আছে বিবেকের ও ঈমানের।'
সার্বিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেমন চলছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সকল প্রার্থী সমান। সবাইকে আমরা সমানভাবে দেখি এবং সবার জন্য সমান প্লাটফর্ম তৈরি করি। সকাল থেকে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি, চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। কোন প্রকার জাল ভোট কিংবা বিশৃঙ্খলার ঘটনা নেই। '
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, 'আমাদের দায়িত্ব হলো পরিবেশ সৃষ্টি করা যেন ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে এসে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে। এবং সেই পরিবেশ ও নিরাপত্তা দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এখন প্রার্থীদের দায়িত্ব তারা যেন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসে। আমি আশা করছি আজকের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।'
ভোটের মাঠে বিএনপির শূন্যতা নির্বাচন কমিশন অনুভব করছে কিনা এমন প্রশ্নে আহসান হাবিব খান বলেন, 'যারা ভোট বর্জন করেছে, হয়তো তাদের সঙ্গত কারণ রয়েছে, তারা যদি থাকতো আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু না, নির্বাচন কমিশনও আনন্দিত হতো। তারা ভোটের মাঠে থাকলে একটা ভারসাম্য ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করতো। তবে এখনও সেই পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু বিএনপি একটা বড় দল, তারা থাকলে আরও ভালো হতো। আজকের নির্বাচনে উৎসব, প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দিতাও আছে।'
পরিবেশ কেমন তৈরি হয়েছে দিনশেষে সবাই দেখতে পারবে উল্লেখ করে আহসান হাবিব খান বলেন, 'ভোটাররা যদি বলেন যে, নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন তাহলে কমিশন একশ’তে একশ' পাবে, আর যদি তারা বলেন তার ভোটটা অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছেন তাহলে আমরা শূন্য হয়ে গেলাম, এটা আমি মনে করি।'