ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে আনুপাতিক হারে। কোনো নির্দিষ্ট দলের হাতে যেন ভোট ও দেশ আর চলে না যায়।'
তিনি বলেন, 'আমরা একটি তারুণ্য নির্ভর সমাজ দেখতে চাই। যুব সমাজকে সাথে নিয়ে আমরা চাঁদাবাজমুক্ত ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।'
খুলনার কয়রা-পাইকগাছার প্রধান সমস্যা বেড়িবাঁধ সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াতের আমীর বলেন, 'আপনারা অন্তত শুরু করুন। জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে আর কোনো দাবি করতে হবে না। বরং জনগণের সংকটগুলো খুঁজে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবে।'
দেশের যুবকরা বৈষম্যমুক্ত যে সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল, তেমন একটি সমাজ গড়তে তিনি সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন।
আমীরে জামায়াত আরও বলেন, 'একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে মা-বোনদেরকে জামায়াত ভীতি দেখাচ্ছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে মা-বোনেরা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে দেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে পারবে। সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুতে জামায়াত বিশ্বাস করে না।'
আওয়ামী লীগ আমলের তিনটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে আমীরে জামায়াত বলেন, '১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন, ১৮ সালে হয় নিশিরাতের নির্বাচন আর ২৪ সালে হয় ডামি নির্বাচন। সুতরাং এমন নির্বাচন আর দেশবাসী দেখতে চায় না। ডামি নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু এ দেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আল্লাহ তাদের সে অপশাসন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছেন।'—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি