আজ (সোমবার, ১০ জুন) সম্পাদক পরিষদ এবং নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) আয়োজিত দেশের অর্থনীতির চালচ্চিত্র এবং প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাজেট ঋণের ফাঁদে পড়বে। ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রণহীন ও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।’
আলোচনায় বক্তারা জানান, অর্থনীতি ঋণ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করার অবস্থায় চলে আসছে। বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই এবং ব্যাংকিং খাতে ঋণ নিলেই এখন খেলাপি হওয়ার মডেল তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদরা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি কাজে আসবে না। মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বমুখী সময়ে অসমাপ্ত মেগা প্রকল্পগুলোকে বছরের পর বছর বরাদ্দ দেয়া ঠিক নয়। ব্যাংকিং খাত ভঙ্গুর থেকে ভঙ্গুরতর হয়ে গেছে। তাই সাধারণ মানুষের আস্থা নেই আর তাদের জন্য টাকাও নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঋণ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করার অবস্থায় চলে আসছে। বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই। ঋণ নিলেই এখন খেলাপি হওয়ার মডেল তৈরি হয়েছে।’
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সুদ হার বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার দাম সহায়তা পাবে। এতে ডলারের দাম খুব না বাড়ার আশা রয়েছে। সুদ হার বাড়লে জিনিসপত্রের দাম না কমলেও বাড়তে থাকবে না। ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ঋণ নেয়া অর্থনীতির ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক অর্থসচিব ও সাবেক কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ, সমাপনী বক্তব্য দেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।