দেশের-অর্থনীতি
আগামী ২ বছর তিন ধরনের ঝুঁকিতে থাকবে দেশের অর্থনীতি
সিপিডির আলোচনায় বক্তারা
আগামী ২ বছরে দেশের অর্থনীতিতে তিন ধরনের ঝুঁকি থাকবে। ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কার নিয়ে সিপিডির এক আলোচনায় উঠে আসে দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চকরহারসহ ১৭ বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসাবাণিজ্য। এছাড়া অর্থনীতির তুলনায় ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।
জ্বালানি সুরক্ষার পাশাপাশি অধিকার নিশ্চিতের দাবি পোশাক শ্রমিক সংগঠনের
পোশাক শ্রমিকদের নিপুণ বুননে চাঙ্গা দেশের অর্থনীতি। পোশাক শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, এই খাতে জ্বালানি সুরক্ষার পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৌশল প্রণয়নে শ্রমিকের মতামত ও বিনিয়োগে বাড়তি গুরুত্বের প্রতিশ্রুতি বিজিএমইএর। আর জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ায় বৈষম্য দূর করে সব পক্ষের মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মূল্যস্ফীতির সাথে বেড়েছে মাথাপিছু ঋণ, চাপও বেড়েছে সাধারণ মানুষের
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার তার ১৫ বছরের শাসনামলে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে যায়। শেখ হাসিনা সরকার দেশ এবং বিদেশে থেকে ঋণের বড় একটি অংশ নিয়েছে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সাথে বেড়েছে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ। রাষ্ট্রীয় এই ঋণের চাপ বয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ।
১৫ বছরের ঋণের বোঝা আর মূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা মানুষ
গত ১৫ বছরে দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়ে দেশের অর্থনীতির অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে এমন উন্নয়নে যে ব্যয় দেখানো হয়েছিল তার বেশিরভাগই হয়েছে আত্মসাৎ ও পাচার। ফলে একদিকে যেমন বেড়েছে ঋণের বোঝা অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় অর্থনীতি সংস্কারে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যেখানে মূল্যস্ফীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জিডিপি বৃদ্ধি-মাথাপিছু আয়ের সরকারি হিসাব শুধু কাগজে কলমে!
বিগত সরকারের আমলের সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকা ঋণ, সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকার মন্দ ঋণ, রিজার্ভ ঘাটতি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা। এর উপর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ও মাথাপিছু আয়ের সরকারি হিসাব শুধু কাগজে কলমে। তবে, গোড়া থেকে পুরো পদ্ধতি ও আইন পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে এ অবস্থার উত্তরণ সম্ভব- মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স
হঠাৎ করেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাহ কমে প্রবাসী আয়ে। প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স আসে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। পরে মাসের শেষ চার দিনে তা অনেকটাই বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। এরপরও তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি পূরণ করা এই প্রবাসী আয় কমায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর তাই সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বাজেটে যে পদক্ষেপই নেয়া হোক তা সুখকর হবে না: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
বাজেটের তুলনায় রাজস্ব আহরণ অনেক কম হলেও এতদিন পর্যন্ত তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই অর্থনীতি যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে সে অবস্থায় বাজেটে যে পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেন তা সুখকর হবে না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আহমেদ।