ফিকি বলছে, এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি অর্জন করা সম্ভব। প্রস্তাবিত সংস্কার, বিশেষ করে আয়কর এবং কাস্টমসের লক্ষ্য হল রাজস্ব বৃদ্ধি, ঘাটতি কমানো এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো।
আজ (সোমবার, ১০ জুন) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
ফিকি মনে করে, এ লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি অর্জন করা সম্ভব। প্রস্তাবিত সংস্কার, বিশেষ করে আয়কর এবং কাস্টমসের লক্ষ্য হল রাজস্ব বৃদ্ধি, ঘাটতি কমানো ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো। তবে তারা টেলিকম, কার্বনেটেড বেভারেজ, ওয়াটার পিউরিফায়ারের উপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক ও ট্যাক্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অর্থবিলে উপস্থাপিত কয়েকটি প্রস্তাবকে চেম্বার স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা টেলিকম, কার্বনেটেড বেভারেজ, ওয়াটার পিউরিফায়ারের উপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক ও ট্যাক্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কারণ প্রস্তুতকারকদের জন্য বর্ধিত কর এই ব্যবসার মুনাফা এবং কার্যকারিতার ক্ষেত্রে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে এবং সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগ কে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
অন্যান্য স্টেকহোল্ডারসহ ফিকি বাংলাদেশের নিম্ন রেভিন্যু-টু -জিডিপি অনুপাত তুলে ধরে এর আরও উন্নতির প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানায়।
গৃহস্থালি আয় সমীক্ষা অনুসারে, জনসংখ্যার ১০ শতাংশ জাতীয় আয়ের ৪০ শতাংশ অবদান রাখে কিন্তু এনবিআরের তথ্য অনুসারে দেশের মাত্র ১০ মিলিয়ন নিবন্ধিত করদাতা রয়েছে। তাই জনগণকে ট্যাক্স নেটের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ফিকি সভাপতি জানান, অর্থবিল ২০২৪ এ চেম্বারের প্রস্তাবিত সংশোধনী গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে তারা, বিশেষ করে সম্ভাব্য করের হারের বিষয়টি, যা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে। এই হার বজায় থাকলে ব্যবসাগুলিকে কার্যকরভাবে পরিকল্পনা করতে ও বিনিয়োগ করতে সক্ষম করবে।
কর ব্যবস্থাকে সরল করার জন্য প্রস্তাবিত কর সংস্কারের প্রশংসা করেছে ফিকি। কিন্তু উচ্চ কার্যকরী করের হার শিল্পের জন্য একটি মূল উদ্বেগের বিষয়। যদিও তারা ব্যক্তিগত তহবিলের জন্য ১৫ শতাংশ আয়কর হারের প্রশংসা করেছে, কিন্তু সরকারি তহবিলকে কর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়টি সরকারি এবং বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করছে বলে জানিয়েছে ফিকি।
ব্যক্তিগত আয়কর হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। এই ব্যবস্থা নিয়মিত করদাতাদের কাছে অন্যায় মনে হতে পারে এবং অসাবধানতাবশত কর ফাঁকি দিতে উৎসাহিত করতে পারে।
চেম্বারটি ২০২৪-২৫ আয়কর বর্ষে বছরের হার প্রযোজ্য রাখার সুপারিশ করেছে। এ নীতির ফলে আরও সঠিক এবং দক্ষ কর ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্যে ট্যাক্স নেট প্রশস্ত করার সাথে করের হার হ্রাস করবে।