আওয়ামী লীগের আমলে ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশে রেখে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানো হলেও আসলে বেড়েছে খেলাপি। আর বছরে পাচার হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর খেলাপি ঋণের বাস্তব চিত্রে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। আর গত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতের মন্দ সম্পদ হয়েছে ৭ লাখ কোটি টাকা।
অর্থ পাচারের কারণে রিজার্ভ নেমেছে তলানিতে। আর মূল্যস্ফীতি হয়েছে তের বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে গত চার মাসে একের পর এক নীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর থেকে তা কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আর এজন্য নীতি সুদ হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
এরপরও কমেনি মূল্যস্ফীতি। আর এর কারণ হিসেবে বাজার ব্যবস্থাকেই দায়ী করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব পদক্ষেপই কাজ করছে। যা আগামী ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলে কিছুটা সামনে আসবে। তবে সহনীয় পর্যায়ে যেতে ১ বছর সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে এবং ২০২৬ সালের জুনে ৫ শতাংশের ঘরে নামবে।’
এসময় তিনি ব্যাংক খাতে এক পরিবারের ঋণই ৮৭ শতাংশ বলে জানান। তাই আগামীতে যাতে এ ধরনের কাজ আর না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে ব্যাংক রেজুলেশন আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে টাকা পাচারের জন্য যেসব ছোট এলসি খোলা হয়েছে সেগুলো বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান গভর্নর
গভর্নর জানান, সব দুর্বল ব্যাংক ভালো হবে না। যেগুলো বাকি থাকবে সেগুলোর বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর যারা এসব ব্যাংকের ক্ষতি করছে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গভর্নর বলেন, ‘দুর্বল ব্যাংকগুলোর সকল তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হবে। এর ফলে ব্যাংকগুলো থেকে কারা অর্থ নিয়ে গেছে তা বের হয়ে আসবে। এই পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইউরোপ ও আমেরিকার কাছ থেকে রাজনৈতিক সাহায্য নেয়া হবে।’