গতকাল (শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেইসবুক পেইজে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিতে রোববার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।’
এ ঘোষণা এমন সময়ে আসে যখন উপাচার্যের বাসভবনের বাইরে ফটকে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী অবস্থান করছিলেন।
আন্দোলনকারীরা দুটি দাবিতে সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা পোষ্য কোটার প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং ২৫ সেপ্টেম্বরেই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন:
‘পোষ্য কোটা’ স্থগিতের ঘোষণা আসার পর রাত সোয়া ১টার দিকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের সামনে থেকে হলে হলে ফিরে যান। ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ পোষ্য কোটা পুনর্বহাল না করা হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভর্তি কমিটির সভায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সন্তানদের শর্তসাপেক্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এর প্রতিবাদ জানায়। তারই ধারাবাহিকতায় এ আন্দোলন চলছে।
এর মধ্যে শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এসময় কয়েকজন আহত হন।
কয়েক হাজার ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন।





