রাকসুর নির্বাচনী আমেজের মধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আমরণ অনশন কর্মসূচির মধ্যে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এরপর আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। অবরুদ্ধ করে রাখেন উপ-উপাচার্যকে। এসময় উপ-উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পোষ্য কোটা প্রত্যাহারের দাবিতে রাতে জুবেরি ভবনে অবরুদ্ধ উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে রাকসু নির্বাচনের প্রার্থীসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘তারা আমাদের শ্যুট করতে চাইলে করতে পারে। কিন্তু এক শতাংশও পোষ্য কোটা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় থাকবে না।’
এরইমধ্যে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আজ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন:
রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম বলেন, ‘গত ২০ তারিখ শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি রোববার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবো। আমাদের দাবির বিষয়ে সুষ্ঠু বিহিত না হলে পরে এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কাফনের কাপড় জড়িয়ে অনশনে বসেন এক শিক্ষার্থী। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন অন্য শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
একদিকে রাকসু নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের প্রচার, অন্যদিকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন। অনেকের কাছেই এখন প্রশ্ন, যথা সময় হবে তো রাকসু নির্বাচন?





