রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল: প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা

অনশনরত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা
অনশনরত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা | ছবি: এখন টিভি
1

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পোষ্য কোটা পুনর্বহাল করা হয়েছে। পোষ্য কোটা পুনর্বহাল করার প্রতিবাদে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে আজ (শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।

আমরণ অনশন অবস্থায় বৃষ্টিতে ভিজে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ২ জন শিক্ষার্থী। তাদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু। অনেক আগেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার কবর দেয়া হয়েছে। আজ আবার কেন সেই ইস্যু প্রশাসন সামনে নিয়ে আসলো? শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে যে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল করা হলো তা অযৌক্তিক। পোষ্য কোটা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:

এর আগে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিতভাবে পাঠানো এক বিবৃতিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ ৩ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়।

এরপর ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো মেনে না নিলে ২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রাকসু নির্বাচনের চার দিন আগে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভর্তি উপকমিটির সাথে সভা করেন তারা। সভায় উপ-উপাচার্যের সভাপতিত্বে শর্তসাপেক্ষে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা হিসেবে ভর্তির সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই শিক্ষার্থীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভসহ গতকাল থেকে আমরণ অনশনে বসেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পোষ্য কোটা ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের মাধ্যমে এর সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বোঝানো হচ্ছে তারা যেন হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে।

তারা অনশনরত অবস্থায় আছে সেজন্য তাদের দেখা শোনাসহ অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে।

সেজু