মহাকাশ প্রযুক্তি, রোবোটিক্স, রকেট সাইন্স এবং অ্যাস্ট্রোনাট প্রশিক্ষণের মতো ভিন্ন ধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল এক অনন্য শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা।
অভিজ্ঞ মিশন কন্ট্রোলারদের সহযোগিতায় শিশু-কিশোররা শিখেছে মডেল রকেট তৈরি-উৎক্ষেপণ, স্পেস রোবট তৈরি ও প্রোগ্রামিং, টেলিস্কোপ তৈরি, মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, মঙ্গল ও চাঁদের জন্য কলোনি ডিজাইন, ছিল ভি আর বেইজড অ্যাস্ট্রোনাট প্রশিক্ষণ।
এছাড়াও শিশু-কিশোরদের একটি টিম মার্স কলোনি তৈরির পাশাপাশি পাবলিশ করেছে তাদের নিজেদের রিসার্চ পেপার। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাসানুল এ হাসান, ফাউন্ডার মেম্বার ও ভাইস চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ, (এআইইউবি)।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের দেশে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, আমাদের শিশু-কিশোররা আজকের এই কর্মশালায় যে ধরনের অ্যাক্টিভিটিগুলো করেছে তা তাদের সৃজনশীলতা ও কৌতূহল আরও বাড়িয়ে তুলবে। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং মহাকাশ গবেষকদের তৈরি করতে সাহায্য করবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেমস গার্ডিনার, ইকোনমিক অফিসার, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট।
তিনি বলেন, ‘স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে শিশু-কিশোররা মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোট বয়স থেকেই তাদের স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারছে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের বিজ্ঞানী, গবেষক, এবং নভোচারী। তারা এখানে নতুন কিছু শেখার, আবিষ্কারের এবং নিজেদের কল্পনাশক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আগামী দিনেও শিশু-কিশোরদের জন্য আরও নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসা, যাতে তারা শিখতে পারে, আবিষ্কার করতে পারে, এবং নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারে।’
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মেম্বার ড. কারমেন জে. লামাপ্পা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
আয়োজনটিতে নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিলেন ক্রিয়েটিভ জুনিয়র, টেক পার্টনার ই-সফট ও রোবাস্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মিডিয়া পার্টনার এনিগমা টিভি এবং সহযোগিতায় ছিল সায়েন্টিফ্লাই, কিডস কোডিং ক্লাব এবং টিম এটলাস।