বিশ্ব অর্থনীতি
অর্থনীতি
0

রাশিয়ার সরবরাহ বন্ধের পর ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী

নতুন বছরের প্রথম দিন ইউক্রেনের মধ্যে দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এর পর থেকেই দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। যা ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। ইউরো নিউজের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডাচ টিটিএফ (টাইটেল ট্রান্সফার ফ্যাসিলিটি) হলো ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের জন্য একটি রেফারেন্স পয়েন্ট। সে অনুসারে প্রতি মেগাওয়াট ঘণ্টা ৪ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ৫১ ইউরোতে দাঁড়িয়েছে।

আর এ দাম বৃদ্ধির প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে, ইউরোপ জুড়ে শীতল তাপমাত্রা যার কারণে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা। যার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। মূলত এসব কারণেই ইউরোপ জুড়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে।

তীব্র ঠান্ডার কারণে ইউরোপে গ্যাসের মজুদ দ্রুত গতিতে হ্রাস পাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাসের মজুদ প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে। যদিও এখনো ইউরোপে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়নি তবে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার অস্থিরতার তৈরি পাশাপাশি দাম বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত বছরের তুলনায় গ্যাসের দাম ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া উচ্চতর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যয় ইউরোপের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যা গৃহস্থালি ব্যয় বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো মধ্য ইউরোপের কিছু দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ এসব দেশের মোট গ্যাসের চাহিদার ৬৫ শতাংশ আসে ইউক্রেনীয় ট্রানজিট থেকে। যদিও তাদের কাছে তুর্ক স্ট্রিম একটি বিকল্প রুট রয়েছে, তবে তা চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়।

গ্রিস, তুরস্ক এবং রোমানিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য নতুন বিকল্প অনুসন্ধান করছে ইউরোপ। এসব চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ শীত মৌসুমে গ্যাসের ঘাটতি এড়াতে পারে বলে আশা করছে। তবে ২০২৫-২৬ সালের শীতের তুলনায় গ্রীষ্মের দাম বেশি হওয়ায় গ্যাস মজুদ আরো ব্যয়বহুল হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

এএম