বিশ্ব অর্থনীতি
অর্থনীতি
0

মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কানাডা

গেলো কয়েক বছরের অর্থনৈতিক মন্দা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে কানাডা। দুই দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশে নেমে এসেছে মূল্যস্ফীতি। যা আরও কমানোর বিষয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে, আবাসন ব্যয় আর জিনিসপত্রের দাম কমানো না গেলে জনমনে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরবে না বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বিশ্বের ধনী দেশগুলোর একটি কানাডা। উন্নত দেশগুলোর জোট জি এইটের সদস্য এই রাষ্ট্র গেলো কয়েক বছর মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী চাপ সামল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছে।

২০২১ সালের শেষে ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখে অটোয়া। আবাসন, খাদ্য আর পরিবহণ খরচ বাড়তে থাকে অস্বাভাবিক হারে। বৈশ্বিক সরবরাহেও দেখা দেয় ঘাটতি। ফলে, সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

তবে ঠিকই নীরবে কোভিড পরবর্তী সংকট সমাধান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষত সামাল দিতে থাকে ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার। যার সুফল হিসেবে সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি ব্যাপকহারে কমে আসার তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

এক নারী অধিবাসী বলেন, ‘এর আগে যতদিনই বাজারে গিয়েছি, দেখেছি জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। মূল্যস্ফীতি কমার খবর স্বস্তির।’

আরেকজন জানান, শেষ তিন বছর খুব কষ্টের ছিল আমাদের জন্য।

কানাডার মূল্যস্ফীতি এখন আড়াই শতাংশের মধ্যে। যা গেলো ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে, এর চেয়েও ভালো অবস্থানে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।

আর দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। তবে জনমনে পুরোপুরি স্বস্তি ফেরাতে কমাতে হবে আবাসন ব্যয় ও জিনিসপত্রের দাম।

কানাডার বাজার বিশ্লেষক সোনিয়া হক বলেন, ‘কানাডিয়ার সরকার এর মধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কেননা বিশ্বের সবি কিছুই অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। তাই সব কিছু স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।’

বিগত বছরে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় সুদহারও বাড়ে কয়েক দফা। যা পরবর্তীতে সমন্বয়ও করা হয়। বছরের শুরুতে বাড়ি নির্মাণ খরচ বাড়ে ১৪ শতাংশ। তবে দেশটির আবাসন খাত এখনো অব্যাহত ব্যয় বৃদ্ধির চাপে আছে বলে কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরিও বর্তমানে বড় এক চ্যালেঞ্জ।

tech