আজ (বুধবার, ২৭ নভেম্বর) এ বিষয়ে সিআইডিতে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
সিআইডিতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের আইপিও অর্থ ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কমিশন বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অতএব, এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
তথ্যমতে, কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থ হয়।
কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনি যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কোম্পানিটি ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিলটি ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে।
কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতা জানতে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত গঠন করে বিএসইসি। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারি মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।
এর আগে আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতার জন্য ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিএসইসি কাট্টালি টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এক কোটি টাকা জরিমানা করে এবং স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালকদের ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তাই এবার সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএসইসি।