দেশের ব্যাংকিং খাতের মত খারাপ সময় পার করছে পুঁজিবাজারও। সূচকের সঙ্গে লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে।
চলতি বছরে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার পর ৬ হাজার পয়েন্টের সূচক নেমে এসেছে ৫৩ শ'তে। আর হাজার কোটির লেনদেন নেমে এসেছে ৫শ' কোটির ঘরে।
পুঁজিবাজারের এই অবস্থার জন্য আস্থার সংকট এবং সঠিক সুযোগ সুবিধা না থাকাকে কারণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই প্রাক বাজেট আলোচনায় বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট করের ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই। দাবি জানিয়েছে, ক্যাপিটাল গেইনের উপর কর আরোপ না করার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, 'যদি এখন নতুন করে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হয় তাহলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উপর একটা বোঝা চলে আসবে। তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের উপর অনীহা চলে আসবে। ক্যাপিটাল মার্কেটের উপর করের বোঝা দিয়ে এখন বিব্রতকর অবস্থায় না নেয়া উচিত।'
সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে মনে করছে ডিএসই। বলছে, বাজার স্থিতিশীল করতে দিতে হবে পুঁজিবাজার সহায়ক বাজেট।
চেয়ারম্যান বলেন, 'আমাদের যে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো রয়েছে তাদের সাথে সেরকম কোনো কম্পারিজম হবে না। অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সেখানে আইডিয়াল অবস্থায় পড়ে থাকবে। দেশের পুঁজিবাজারকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত না করা যায় তাহলে প্রতিদিনের এই লেনদেন দিয়ে পুঁজিবাজার দাঁড়াতে পারবে না।'
পুঁজিবাজারের ক্রান্তিকাল সময়ে আস্থার সংকটের প্রশ্ন তোলা হলে তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানায় ডিএসইর চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতায়নের ওপরও জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ডিএসইর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন আছে এইটা আমাদের দরকার।' পুঁজিবাজারের সংকটকালে নতুন কর আরোপ না করে প্রণোদনার দাবি ডিএসইর।