পুঁজিবাজার
অর্থনীতি
0

পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতন অব্যাহত

ঈদের পর ধারাবাহিক পতনে চলছে দেশের পুঁজিবাজার। এতে ছয় কার্যদিবসে ২শ' পয়েন্টের বেশি কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক। এমন অবস্থায় বাজারের এই পতনের দায়ভার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সেই সঙ্গে শেয়ারবাজারের নেতিবাচক এ অবস্থার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের স্বার্থপর আচরণকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা।

ঈদের আগে যে পতন শুরু হয়েছিল, তার ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি দেশের পুঁজিবাজারে। ধারাবাহিক পতনে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী। এতে কেউ আবার তুলে নিচ্ছেন পোর্টফলিওতে থাকা সবশেষ বিনিয়োগ।

ঈদের পর পাঁচ কার্যদিবসের টানা পতনে সূচক কমছে ২১০.৩৮ পয়েন্ট যা শতকরা হিসেবে ৩.৫৯ শতাংশ। ঈদের আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৮৬৪ পয়েন্টে তা কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬৫৪ পয়েন্টে।

এদিকে পতনের কারণে ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং শীর্ষ ব্রোকারদের সঙ্গে‌ গত ২২ এপ্রিল বৈঠক করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। বৈঠকে শেয়ারবাজারের সমস্যা সমাধান এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট বাড়তে দেখা যায়।

তবে সভার একদিন পরেই ফের আগের অবস্থায় ফিরে আসে পুঁজিবাজার। এদিন সূচক কমে ৪১ পয়েন্টের বেশি। তাই মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাজার পতনের সমস্যা সমাধান করে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে নিতে মানববন্ধন করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

পতনে শুধু বৈঠক নয় এর দায়ভার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে নিতে হবে বলে জানায় আন্দোলনরত বিনিয়োগকারীরা। সেই সঙ্গে আগামী সোমবার থেকে বাজার ভালো না হলে মঙ্গলবার থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেয় তারা।

আন্দোলনরত বিনিয়োগকারীদের একজন বলেন, 'সারা বিশ্বের পুঁজিবাজার যেখানে ঊর্ধ্বগতি সেখানে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিম্নমুখী।

আরেকজন বলেন, 'এই বাজার দেখার কেউ নেই। অভিভাবকহীন একটা বাজার।'

পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থার কারণ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের স্বার্থপর আচরণকে দায়ী করলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. আল আমিন।

তিনি বলেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী একটা অংশ দেখে দুই একটা স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভালো আর্নিং পেতে পারি সেক্ষেত্রে সামগ্রিক বাজার নিয়ে তার চিন্তা করার কোনো কারণ নেই এবং তারা বিভিন্ন আইপিও থেকে সুবিধা পেয়ে থাকে।'

দীর্ঘ এ পতনে বড় ধরনের আস্থার সংকটে পড়ছে শেয়ারবাজার। যার সমাধান এখনি হলে ভবিষ্যতে বাজার থেকে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

ইএ