দুষ্কৃতকারীরা ফের নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন | ছবি: এখন টিভি
0

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ দুষ্কৃতকারীরা ফের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে পুনরায় অবৈধ টাকা বা ই-মানি তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ (শনিবার, ১৭ মে) মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।

এর আগে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক বসানোর পর নিরীক্ষায় উঠে আসে, নগদে বড় ধরনের জালিয়াতি। ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়। এসব কারণে দুই হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মেলে না।

অভিযোগ রয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগ আমলে আমলে নিয়মের বাইরে গিয়ে গ্রাহক বানানো ও সরকারি ভাতা বিতরণসহ একচেটিয়া সুবিধা পায় নগদ।

এ ঘটনায় সরকারের ডাক বিভাগের আটজন সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক, নগদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সিইওসহ ২৪ জনকে আসামি করে মামলা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সম্প্রতি আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক বিভাগ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই সুযোগে নতুন করে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মীদের বিভাগ পরিবর্তন করা শুরু করেছে দুষ্কৃতকারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন্সিক অডিটের সহায়তা করার অপরাধে ২৩ জন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এদিকে নগদের অর্থ তছরুপের জন্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, তাদের মধ্যে একজনকে প্রতিষ্ঠানটির সিইও হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার আরো দুই আসামিকে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে নগদ পরিচালনায় নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আবারো দুষ্কৃতকারীরা নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পুনরায় অবৈধ টাকা বা ই-মানি তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দু’জন আসামিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের মাধ্যমে নগদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সুযোগে নতুন করে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মীদের বিভাগ পরিবর্তন করা শুরু করেছে দুষ্কৃতকারীরা।’

আগামী ১৯ তারিখে বিষয়টি সম্পর্কে আদালতে শুনানি রয়েছে। তারপরেই নগদের পরবর্তী করণীয় এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটিদের যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসএস