পরিষেবা
অর্থনীতি
0

'এ' চালান বাধ্যতামূলক করলেও রিটার্নের সঙ্গে পে অর্ডার দিচ্ছেন করদাতারা

সহজেই কর পরিশোধ ও হিসাবের জটিলতা কমাতে 'এ' চালানকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করলেও আয়কর রিটার্নের সঙ্গে পে অর্ডার জমা দিচ্ছেন করদাতারা। ফলে সংখ্যায় কম হলেও কাজ কমছে না কর কর্মকর্তাদের।

২০২০ সালে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের জন্য ইলেকট্রিক পেমেন্ট বা অটোমেটেড চালান ব্যবস্থা চালু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনআরবি)। এর আগে ভ্যাট ও আয়কর নেয়া হতো পে অর্ডারের মাধ্যমে। শুরুতে ই-পেমেন্ট বা 'এ চালান' এর জন্য ন্যূনতম ভ্যাট লেনদেনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ৫০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হয় টাকার অংক। সবশেষ ২০২৩-২৪ করবর্ষ থেকে সবার জন্যই বাধ্যতামূলক করা হয় 'এ চালান'।

এনবিআর বলছে, 'এ চালান' এর মাধ্যমে কর পরিশোধ করলে তা সাথে সাথেই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। এজন্য গত কয়েক বছর থেকেই 'এ চালান' দিতে করদাতাদের উৎসাহ দিচ্ছে এনবিআর। তবে মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইনের মাধ্যমে কর পরিশোধের এই সুযোগ তৈরি হলেও এখনও পে অর্ডার নিয়ে কর অঞ্চলগুলোতে হাজির হচ্ছেন করদাতারা। যার ফলে হাতেগোনা কিছু পে অর্ডারের জন্য দৌঁড়াতে হচ্ছে ব্যাংকে।

একজন করদাতা বলেন, 'পে অর্ডার অনেকসময় রিটার্নের সাথে দিয়ে রাখে আবার অনেক সময় এদিক সেদিক হয়ে যায়। পে অর্ডারের চেয়ে এ চালানটা বেটার।'

অনলাইনে কর পরিশোধেই স্বস্তিবোধ করছেন 'এ চালানে' অভ্যস্ত করদাতারা। যদিও সার্ভার জটিলতার অভিযোগ রয়েছে কারও কারও।

করদাতা একজন বলেন, 'এ চালানে সুবিধাটা ভালো। কোনো ঝামেলা নেই। কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করে অনলাইনে জমা দিয়ে দিলেই হয়। ব্যাংকে কোনো ঝামেলা নেই।'

কর কর্মকর্তারা বলছেন, এনবিআরের সার্ভার সেবা দিতে যথেষ্ট সক্ষম। অপরদিকে পে অর্ডার জমা দিলে তা ব্যাংকে পাঠানোসহ বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হতে বেশ সময় লেগে যায়। তাই কর কর্মকর্তাদের ওপর চাপ কমাতে ও করদাতাদের স্বস্তি দিতে 'এ চালান' পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের।

অঞ্চল-১০ এর কর কমিশনার মো. শাহ্ আলী বলেন, 'আগে যখন ম্যানুয়ালি এই সিস্টেমটা ছিল একটা পে-অর্ডার দিতেন করদাতা, হয়তো সেটা সরকারি ব্যস্ততার কারণে বা অন্য কারণে হোক সেটা দেরি হতো। ওইটা ব্যাংকে পাঠাতাম, তা ক্লিয়ার হতে আরও দ'চার দিন। মাসের শেষে ৩০ বা ৩১ তারিখের একটা গ্যাপ হয়ে যেত। দেখা যায় জুনের শেষে ক্লিয়ারিংয়ে দিয়েছি কিন্তু সেই টাকা টাকা আদায় হয়ে যাচ্ছে জুলাই মাসে। যার জন্য রিপোর্টিংয়ের মধ্যে একটা গড়মিল দেখা যেতো। সে জায়গার কিন্তু এখন আর কোনো সুযোগ নেই।'

২০২৩-২৪ করবর্ষে ৩৭ লাখ রিটার্নের মধ্যে অনলাইনে জমা পড়েছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। আর চলতি বছরে দশ লাখেরও বেশি রিটার্ন অনলাইনে দাখিল নিশ্চিত করতে চায় এনবিআর।

এসএস