প্রাকৃতিক গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে নিজস্ব উত্তোলন না বাড়িয়ে এলএনজি আমদানির পথ বেছে নেয়ার অভিযোগ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক বিবেচনায় বিনা দরপত্রে গ্যাস আমদানি ও তা পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য সাগরে ভাসমান টার্মিনাল বসানোর সুযোগ করে দেয় সামিট গ্রুপকে। ২০১৮ সাল থেকে সাগরে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে গ্যাস যুক্ত হচ্ছিলো জাতীয় গ্রিডে। এর মধ্যে একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটরের অপরটি সামিটের।
দুর্নীতির সুযোগ খুঁজতে শেখ হাসিনা সরকারের তৈরি করা বিশেষ জ্বালানি আইন ২০১০ এর অধীনে আরেকটি টার্মিনাল বসানোর কথা ছিলো সামিটের। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাতিল ঘোষণা করে চুক্তি। একইসঙ্গে এক্সিলারেটরের চুক্তি বাতিল হওয়ায় থেকে যায় সামিটের একটি টার্মিনাল।
গ্যাস সংকটের এ অবস্থায় চুক্তি বাতিলেও কোনো প্রভাব পড়বে না বলছে জ্বালানি বিভাগ। আগামী মাসেই অংশগ্রহণমূলক নতুন দরপত্র আহ্বান বলে জানান জ্বালানি উপদেষ্টা। বলেন, এখন থেকে বিইআরসির গণশুনানিতে ঠিক হবে জ্বালানির দর।
এদিকে রোববার বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি পরিকল্পনা শীর্ষক ফরেন চেম্বার অব কমার্স অব ইন্ড্রাস্ট্রির এক সেমিনারে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজস্ব উত্তোলন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আন্দোলন তো করতেই পারে। তবে সরকারের ক্ষমতাকে দুর্বল ভাবার কারণ নাই। এখানে দুটো জিনিস রয়েছে। আপনি শান্তিপূর্ণভাবে দাবি-দাওয়া জানাতে পারেন। আমরা সরকারের দিক থেকে এটা দেখবো।
প্রাকৃতিক গ্যাসে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ও আমদানির পরেও ঘাটতি থাকে ১ হাজার মিলিয়ন ঘন ফুটের বেশি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা পূরণে ব্যয় হয় ৪৫ শতাংশ।