উৎপাদিত এই বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের।
এর আগে পানিস্বল্পতায় এক এক করে কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। নিম্নমুখী উৎপাদন নিয়েই একটি ইউনিট সচল রাখা হয়। সর্বশেষ গত বছরের ৪ এপ্রিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ঠেকেছিল মাত্র ২৫ মেগাওয়াটে। মূলত অনাবৃষ্টি আর প্রচণ্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ কমে গিয়েছিল। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়েছিল বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
তবে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হলে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়া চালু করা হয় দুইটি ইউনিট।এরমধ্যে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশব্যাপী শুরু হয় বৃষ্টিপাত। গত শুক্রবার থেকে রাঙামাটিতে থেমে থেমে চলছে হালকা-ভারি বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানির স্তর আরও বেড়ে যায়।এতে গতকাল থেকে পুরোদমে চালু করা হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট। আর এতে উৎপাদন হচ্ছে ১৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
কাপ্তাই লেকে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এম.এস.এল(মিন সি লেভেল)। পানির পরিমাপক-রুলকার্ভ অনুযায়ী এ সময়ে হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৪.৩২ ফুট। অথচ গতকাল (০৩ জুলাই) বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত হ্রদে পানির পরিমাণ ছিল ৮৭.১০ ফুট। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৭৮ ফুট বেশি রয়েছে পানি।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন, ‘উৎপাদিত এই বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির পরিমাণ বাড়লে বিদ্যুতের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে’।