আজ (বুধবার, ৮ মে) ঢাকার একটি হোটেলে ‘আরএমজি সেক্টরে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সুইডেন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের বিষয়ে পলিসি সংলাপ-২০২৪’ এ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরাও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ও ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। নেট মিটারিং সিস্টেম, রুফটপ সোলার, জলবিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসার পরিষ্কার বিদ্যুৎ দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য কারখানায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে একটি ‘কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (সিপিপিএ)’ কাঠামো তৈরি করেছে। শিগগিরই সিপিপিএ’র সঙ্গে কয়েকটি কারখানার পাইলট করার পরিকল্পনা রয়েছে। সিপিপিএ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সার্বক্ষণিক ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এজন্য উচ্চ ক্ষমতার স্টোরেজ প্রয়োজন। অবশ্যই স্টোরেজের জন্য বিদ্যুৎ বাবদ খরচ বাড়বে ও স্মার্ট গ্রিডে যেতে হবে। এই অতিরিক্ত খরচ ও প্রযুক্তি ব্যয় নিয়েও পলিসি থাকা উচিত।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন ইউরোপীয় এজেন্ডা বা গ্লোবাল এজেন্ডা নয়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকেও টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ রূপান্তরের সঙ্গেই থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডেলিগেশন অব ইউরোপিয়ান অব বাংলাদেশ-এর প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলে, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্জ ভন লিন্দে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মহাবুবুর রহমান ও এইচএন্ডএম-এর কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বক্তব্য দেন।