গত বছরের ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টার্মিনালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ৬ এপ্রিল শতভাগ কাজ শেষে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তৃতীয় টার্মিনাল বুঝে নেওয়ার কথা ছিলো। তবে কাজ বাকি থাকায় টার্মিনালটি বুঝে নেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন।
ওইদিন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান জানান, ৫ শতাংশ কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় ৫ থেকে ৬ মাস থার্ড টার্মিনালের হস্তান্তর প্রক্রিয়া পেছাবে। এতে কোনো ব্যয় বাড়বে না। ঈদের পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন এম. মফিদুর রহমান।
তবে টার্মিনালটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে আরও সময় লাগবে বলে জানালেন আজ বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী।
মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে আরও ৬ মাস সময় লাগবে।’
২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। আর বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে উঠে আসে। বিমানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাজ্যের উড়োজাহাজ নির্মাণ কোম্পানির এয়ারবাস কিনতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপাতত ১০টি এয়ারবাস কেনার পরিকল্পনা করেছে সরকারের। মূল্যায়ন কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’
ফারুক খান বলেন, ‘শুধু বোয়িংয়ের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বিভিন্ন এয়ারক্রাফট থাকা প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব ভালো হলে আমরা তাদের এয়ার বাস কিনতে পারি। সমঝোতায় পৌঁছতে (এমওইউ) মূল্যায়নের জন্য সময় প্রয়োজন।’
এ সময় বিমানমন্ত্রী দুর্নীতিতে জড়িত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ৭ জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত বেবিচকের ৩৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকা বেবিচকের যেসব কর্মকর্তারা কানাডায় পালিয়ে গেছে, তাদের সেখানকার পুলিশ দিয়ে ধরার চেষ্টা চলছে।'