সোমবার (১১ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নির্বাচিত ৫৪ জনকে ফেলোশিপের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিবছর ফেলোশিপ দেয় সরকার। সে ধারাবাহিকতায় এ বছর ৪ হাজার ৭ শ' ১৭ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, জাতীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদান দেয়া হয়।
প্রযুক্তি ও গবেষণায় সরকারের নেয়া নানা ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া কোনো উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। কৃষি নিয়ে গবেষণার কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ এখন ফলমূল, ফুল এমনকি টিউলিপ যেটা শীতের দেশ ছাড়া হয় না, সেই টিউলিপও হচ্ছে। স্ট্রবেরিও বাংলাদেশে হচ্ছে। সবই গবেষণার ফসল।'
আগামীতে স্বাস্থ্য গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গবেষণার অর্থ যেন জনগণের কল্যাণে কাজে লাগে। গবেষণা নতুন দ্বার খুলে দেয়।’
চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিস কমিয়ে গবেষণায় মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, 'আমরা একটা জিনিসে পিছিয়ে আছি, সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা। ডাক্তার সাহেবরা টাকা কামায় করে আর প্রাকটিস করে গবেষণার দিকে যায় না। কিন্তু এখন স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশের মানুষ সুস্থ হবে, সবল হবে। যারা মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে, তাদের গবেষণা অপরিহার্য। যারা সরকারি চাকরি করছেন, তারা প্রাইভেট প্রাকটিস কমিয়ে দিয়ে গবেষণা করবেন।’
রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষে দ্বিতীয় কেন্দ্রের প্রস্তুতি নেয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ উৎক্ষেপণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা করেছিলাম দক্ষিণে। কিন্তু সেখানকার যে মাটি তা খুবই নরম। আমরা প্রত্যেকটা দ্বীপ গবেষণা করে দেখেছি, সেখানে করা সম্ভব না। তবে এখন যেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছি, এটা সমাপ্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়টা আমরা পাবনার এই রূপপুরে করতে পারবো।’
দেশের সম্পদ দেশেই কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে।’