২০২৪ সালে বাংলাদেশ-তুরস্ক কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পার করেছে। দুই দেশের নানা পটপরিবর্তনের মাঝেও এই সম্পর্ক ছিল অটল।
কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি এগিয়েছে বাণিজ্য সম্পর্কও। তুরস্কে ৫শ মিলিয়ন রপ্তানির বিপরীতে বাংলাদেশ আমদানি করে ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। তুরস্কে রপ্তানির এ হার চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৩০ শতাংশ। তবে রপ্তানিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগে এগিয়ে তুরস্ক। যেখানে এখনো বিনিয়োগ রয়েছে ৩০ কোটি ডলারের।
বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় তুরস্ক। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করছেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. ওমর বলাট ও ৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সফরের শুরুতেই তারা বৈঠক করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে। বৈঠক শেষে উপদেষ্টা জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিভিন্ন কারখানার মেশিনারিজ, সামরিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ন্যাটোভুক্ত দেশটি। বাংলাদেশে তারা অস্ত্র বিক্রি করতে চায় বলেও জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও মেশিনারিজ শিল্প এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, টিসিবির কার্ডে দুর্নীতি থাকায় ১ কোটির মধ্যে ৩৭ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এসময় চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রমজানের জন্য আমরা সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত। আমরা আমদানি উদারীকরণ করেছি। চাল আমদানিতে প্রায় ৬৩ শতাংশ শুল্ক ছিল যা আমরা ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’
চাল আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে ইতোমধ্যে আমদানি শুল্ক ৬৩ শতাংশ থেকে তিন শতাংশে নামানো হয়েছে। এছাড়া এপ্রিল মাসে বোরো ধান উঠলে চালের বাজার স্বাভাবিক হবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।