তুরস্কজুড়ে ইমামোলুর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, আটক দেড় হাজার

বিদেশে এখন
0

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী একরাম ইমামোলুরকে কারাবন্দির অভিযোগে তুরস্কজুড়ে শুরু হয়েছে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ। জলকামান, পিপার স্প্রে ও ধরপাকড় কড়েও কোনোভাবে দমানো যাচ্ছে না তাদের। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার আন্দোলনকারীকে আটক করেছে তুরস্ক পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে নতুন মোড় নিতে পারে তুরস্কের রাজনীতিতে।

তুরস্কের জনপ্রিয় নেতা ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোলুরকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। এই অভিযোগে গত প্রায় ৬ দিন ধরে উত্তাল তুরস্কের ইস্তাম্বুল, আঙ্কারাসহ বড় বড় শহর।

একরামের মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। গত কয়েক বছরের ইতিহাসে তুরস্কে এতো বড় বিক্ষোভ দেখেনি বিশ্ব।

পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হাতাহাতি, মারামারি। এক পর্যায়ে জল কামান ও পিপার স্প্রে দিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা তুরস্ক পুলিশের। তবে কোনো কিছুতে দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভকারীদের।

উপায় না পেয়ে গণহারে আটক শুরু করে পুলিশ। শুধু ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারা থেকে প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসি। সেসময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককেও আটক করে পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ। তাই গণতন্ত্রবোধের মূল্য দিতে আঙ্কারার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউ।

ইস্তাম্বুলের মেয়রের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে যখন উত্তাল রাজপথ তখন তার দল রিপাবলিক পিপলস পার্টি তাকে পরবর্তী ২০২৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। তাদের দাবি আদৌতে একরাম ইমামোলু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। রাজনৈতিকভাবে তাকে দমাতেই মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রেখেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান।

অপরদিকে এরদোয়ানের দাবি, দেশজুড়ে অশান্তি তৈরি করতেই ইস্যু তৈরি করে বিক্ষোভ করছে বিরোধী দল। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিক্ষোভের জের ধরে তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্ত হতে যাচ্ছে।

ইএ