গেল কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ গণ আন্দোলনের মুখোমুখি তুরস্কের ক্ষমতাসীন এরদোয়ান প্রশাসন। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের জেরে টানা ৪ দিন ধরে তুরস্কের প্রধান সড়কগুলো সাধারণ মানুষের দখলে। সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একরামের দল সিএইচপি।
দুর্নীতি, সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে মদত দেয়ার অভিযোগে গেল বুধবার ইস্তাম্বুলের মেয়র ইমামোগলুকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দেয়া কথা ছিল তার।
আটকের পর শনিবার একরাম ইমামোগলুকে আদালতে হাজির করা হয়। রয়টার্স জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের ইস্তাম্বুলের মেয়রকে ৭০টির বেশি প্রশ্ন করা হলেও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। এসময় মেয়র ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর আর্জি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বুধবার মেয়রকে আটকের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্তত ৫১টি প্রদেশে। কাঁদানে গ্যাস আর জল কামান দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না ক্ষুব্ধ জনতাকে। ৪ দিনে প্রায় সাড়ে ৩শ' বিক্ষোভকারীকে আটকের পরেও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছে না পুলিশ। যদিও পুরো বিষয়টিকে বিরোধীদের চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, ‘একজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরেও বিরোধীরা গোটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির জন্য গেল ৪ দিন ধরে তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের রাস্তাঘাটে হেনস্থা করা হচ্ছে।’
সাম্প্রতিক জরীপে দেখা গেছে ২০২৮ এর নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের সাথে টক্কর দেয়ার মতো প্রার্থীদের তালিকায় সবার ওপরে আছেন ইস্তানবুলের মেয়র একরাম ইমামোগলু। ফলে রাজনৈতিক কারণে তাকে আটক করা হয়েছে প্রধান বিরোধীদল সিএইচপি'র এমন অভিযোগ সরাসরি এড়াতে পারছে না এরদোয়ান প্রশাসন।