করোনা মহামারির পর ইউক্রেনে ২০২১ সালে রাশিয়া আক্রমণ করে, সেই থেকেই ধুকছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। নানা সংস্থা থেকে অর্থ সহায়তার পাশাপাশি আর্থিকখাতের নানা সংস্কার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলছে দেশের অর্থনৈতিক খাত।
গেলো ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাঠে নেমেছে আরও জোরেশোরে। বিগত সরকারের আর্থিক খাতের অনিয়ম, অর্থ পাচারে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে সহায়তা দিতে নতুন সরকার আর্থিক সংস্থাগুলো থেকে বাজেট সহায়তা চেয়েছে।
এর ফলে এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসেন। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এডিবির প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী এবং মধ্যমেয়াদী ঋণ সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।'
এসময় চলতি বছরের ডিসেম্বরে ৪০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের ব্যাপারেও কথা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমরা রাজস্ব খাত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছি। পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তা করবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে এডিবি। ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি এবং মধ্যমেয়াদি ঋণ সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।'