চুক্তি
অর্থনীতি
0

বাংলাদেশকে ২০২ মি‌লিয়ন ডলার সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশের সুশাসন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহযোগিতা দিবে যুক্তরাষ্ট্র। আজ (রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অর্থ উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে এই চুক্তি হয় ইউএসএআইডির।

বৈঠক শেষে ইএসএআইডির সহকারী প্রশাসক, অঞ্জলি কৌর বলেন, ‘বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও আর্থিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’

এরপর সফরের বিস্তারিত তুলে ধরে পররাষ্ট্রসচিব গণমাধ্যমে জানান, বৈঠকগুলোতে দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েই কথা হয়েছে। এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার অঙ্গীকারও।

ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল দেশে চলমান রাষ্ট্রসংস্কার নিয়ে জানতে চাইলে তাদের সামনে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি তুলে ধরে ঢাকা। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের অর্থ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় সকাল নয়টায়, সঙ্গে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আর ইএসএআইডির সহকারী প্রশাসক, অঞ্জলি কৌর ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথমেই প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রথম ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে অর্থনীতি সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সহায়তার বিষয়গুলো উঠে আসে।

এরপরের বৈঠকটি হয় অর্থ উপদেষ্টার সাথে। বৈঠকে স্থান পায় ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান নতুন সরকারের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো। ঢাকা থেকে পাচার হওয়া অর্থে ফেরতের ব্যাপারে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। আর গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজের জন্য আগের চুক্তির সাথে আরও ২০২ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা চুক্তি সাক্ষর হয়।

বৈঠক শেষে ইএসএআইডির সহকারী প্রশাসক, অঞ্জলি কৌর গণমাধ্যমে জানান, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও আর্থিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সুশাসন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই এই অর্থ ছাড়।

আর অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের আর্থিক খাত সংস্কারে সহযোগিতার বিষয় আলাপ হয়েছে বৈঠকে। এরপর পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন তুলে ধরেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরের বিস্তারিত।

তিনি জানান, বৈঠকগুলোতে দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েই কথা হয়েছে। অন্তবর্তী সরকারের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার এসেছে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে।দেশে চলমান রাষ্ট্রসংস্কার নিয়ে জানতে চাইলে তাদের সামনে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি তুলে ধরে ঢাকা।

আলোচনা হয়েছে আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়েও। শ্রম আইন ও র‌্যাব সংস্কারের অগ্রগতিও জানানো হয়েছে প্রতিনিধি দলকে। চাওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানও। সফরে প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।

এএইচ