বিমানবন্দরে কাতারের আমিরকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ । এসময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি । বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
কুয়েত আমিরকে তিনি জানান, খাদ্য সরবরাহের চেইনগুলো-উৎপাদন থেকে ব্যবহার পর্যন্ত-কৃষি-উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য প্যাকেজিং, স্মার্ট এগ্রিকালচার, সার উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ও বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন কাতারের আমির ও তার সফরসঙ্গীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই ভোজে অংশ নেন।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, দুই দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন-সুরক্ষা, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি, সাগরপথে পরিবহন এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্য যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
এছাড়া যে ৫টি সমঝোতা স্মারকের সই হয়। সেগুলো হলো শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্র এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা।