শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সবচেয়ে বড় বিসিক শিল্প পার্ক

দেশের সবচেয়ে বড় সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প পার্ক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। অবকাঠামোগত কাজ শেষে এখন প্রস্তুতি চলছে প্লট বরাদ্দের। এরই মধ্যে প্লট বরাদ্দের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা। শিল্প পার্কটি চালু হলে এই অঞ্চলে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দূর হবে বেকারত্ব।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রায় ৪০০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে স্বপ্নের সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প পার্ক। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১০ সালে এই প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। পরবর্তীতে কয়েকটি সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের চূড়ান্ত মেয়াদ ধরা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন। যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭১৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।

শিল্প পার্কে মিল কলখানার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৭০ একর জায়গা। এছাড়াও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ ফাঁড়ি, প্রশাসনিক জোন এবং আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

প্রকল্পের রাস্তা, ড্রেন ও সীমানা প্রাচীরের কাজসহ অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ এর পিলার, চারটি সাব-স্টেশন ও গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানে শিল্প কারখানা স্থাপন করলে উদ্যোক্তারা পাবেন আধুনিক শিল্প নগরীর সকল সুযোগ সুবাধা।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, 'আমাদের এই অফিস ভবনের মাধ্যমে সবগুলো দপ্তরের সুবিধা এক জায়গা থেকে দিবো। এই সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা যারা এখানে শিল্প স্থাপন করবেন তারা বেশ উপকৃত হবেন।'

স্থানীয়রা বলছেন, সড়ক নৌ ও রেল পথের সুব্যবস্থা থাকায় বিসিক শিল্প পার্কের উদ্যোক্তারা বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি স্বল্প খরচে ও কম সময়ে পণ্য আনা নেয়া করতে পারবেন। শ্রম বাজার সৃষ্টি হলে দূর হবে বেকারত্ব, এতে এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।

স্থানীয় একজন বলেন, 'দেশ-বিদেশ থেকে অনেক লোক আসবে উদ্যোক্তারা আসবে। আমরা সহযোগিতা করবো। এখানকার যে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এর পণ্য সুন্দরভাবে দক্ষিণাঞ্চলেও পরিবহন করতে পারবে।'

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে প্লট বরাদ্দের দরপত্র প্রকাশ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক জাফর বায়েজিদ। এরইমধ্যেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

জাফর বায়েজিদ বলেন, 'তিন ধরনের ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। সড়ক পথ রয়েছে, রেলপথের সংযোগ রয়েছে, এছাড়াও নদী পথেরও একটা সংযোগ রয়েছে। এই তিনটি পরিবহনের দিকে একটা নতুন দিক পাবে বলে উদ্যোক্তারা এখানে আগ্রহ দেখাচ্ছে।'

বিভিন্ন প্রতিকূলতায় ১৪ বছর লেগে গেছে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে। এই পার্কে ৮২৯টি প্লটে অন্তত ৫৭০টি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এসএস