শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

'অপরিকল্পিত স্থানান্তরের কারণে চামড়া শিল্পের ক্ষতি হয়েছে'

চামড়া শিল্পে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এছাড়া হাজারীবাগ থেকে অপরিকল্পিতভাবে স্থানান্তরের কারণে এই খাতের ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে চামড়া খাতকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হিসেবে গড়ে তুলতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

তৈরি পোশাক খাতের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য হিসাবে পরিচিত চামড়াশিল্প। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২২ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে সম্ভাবনাময় এই খাতকে আরও কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে চামড়া শিল্পের ভূমিকা আরও বেশি হতে পারতো। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ ট্যানারি লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ না পাওয়াতে ইউরোপের মার্কেটে সরাসরি চামড়া বিক্রি করতে পারছে না বাংলাদেশ।

কিভাবে চামড়া শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধি করা যায় এবং একইসাথে কত দ্রুত লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডাব্লিউজি) সনদ পাওয়া যায় তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার আয়োজন করে ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন। উঠে আসে ট্যানারি খাতে শুধুমাত্র দূষণ নয়, একইসাথে টেকনিক্যাল, অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতেও নজর বাড়াতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, 'যে দেশের প্রতিনিধি এসে কিনবে, তার দেশের যে এনভায়রোনমেন্টাল স্ট্যান্ডার্ডস আছে সেটাকে মানতে হবে।'

বাংলাদেশের ট্যানারি খাতকে পরিবেশবান্ধব করতে এবং এলডাব্লিউজি'র সনদ পেতে যে কোনো ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ব্যবসায়ীদের লাভের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব টেকসই চামড়া খাত গড়তে ভূমিকা রাখার আহ্বান তাদের।

এদিকে চামড়া শিল্পে মান মাত্রায় কোনো ছাড় দিবে না পরিবেশ মন্ত্রণালয়। যদি কোনো দূষণ হয় সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও চামড়া শিল্প পরিবেশবান্ধব না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলেও জানান মন্ত্রী।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'শুধু পরিবেশের জন্য না। এই লেদার সেক্টরটা হচ্ছে একটা দারুণ উদাহরণ যে এটা ব্যবসার জন্য অনেক ভালো। পরিবেশে ইনভেস্ট করা ব্যবসার জন্য ভালো।'

এছাড়াও চামড়া শিল্পকে লাভজনক করতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনগার বা সিইটিপি নতুন করে তৈরি করারও আহ্বান জানান তিনি।

এসএস