অর্থনীতি
0

তৈরি পোশাক খাতে অবস্থান হারাচ্ছে বাংলাদেশ, বাড়ছে উদ্বেগ

বিজয়ের ৫৩ বছরে বিশ্বের বুকে স্বাধীন বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন এর মধ্যে অন্যতম তৈরি পোশাক খাত। বাংলাদেশে তৈরি জামা-কাপড় ইউরোপের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়ও সমাদৃত। তবে সম্প্রতি রপ্তানি কমার প্রভাব পড়েছে আউটলেটগুলোতে। বাজারে আধিক্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তানের। যা রীতিমতো বাড়াচ্ছে উদ্বেগ।

বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাক খাতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির নাম শোনা মাত্রই ভালো মানের পণ্যের কথা বলেন ভিনদেশিরা।

স্বাধীনতার পর পোশাক খাতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সুনাম অর্জন সত্ত্বেও, সম্প্রতি রপ্তানি কমে যাওয়ায় সংকটের মুখোমুখি গুরুত্বপূর্ণ এ খাত। হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে তাই বাস্তবিক অর্থেই আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ সচেতন নাগরিকদের।

বাংলাদেশে নানামাত্রিক অস্থিরতায় সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে রপ্তানির পরিমাণ। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে এসেছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত এমনকি পাকিস্তান।

সরেজমিনে, তৈরি পোশাকের বাজার চলে যাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দখলে। মার্কিন বস্ত্র ও পোশাক সংক্রান্ত দফতর বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে সোয়া তিন শতাংশ রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে।

২০২৬ সালের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নত দেশের বাজারগুলোয় বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হতে যাচ্ছে ডিউটি-ফ্রি সুবিধা।

সব মিলিয়ে দেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ হতে পারে ১২ শতাংশ পর্যন্ত । এত রপ্তানি আয় কমতে পারে ১০ শতাংশের বেশি। তাই গর্বের মেড ইন বাংলাদেশ খ্যাত তৈরি পোশাকের মান ও বাজার ধরে রাখতে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ