আজ (রোববার, ৫ মে) বিকেলে বনানীর একটি হোটেলে ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক হয়। এই বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ থাকলেও উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য তৈরিতে পিছিয়ে আছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বাজারের চাহিদা পূরণ করতে অক্ষম তা যেন দৃশ্যমান। এর সঙ্গে গবেষণা ও উদ্ভাবনে সংকুচিত বিনিয়োগ রয়েছে। দেশের গবেষণা শূন্য এই গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা একসময় প্রবৃদ্ধি অর্জনে শূন্যতা তৈরি করবে বলে মত আলোচকদের।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রণোদনা সুবিধা এখনই তুলে নেওয়ার সময় হয়নি। বরং কিভাবে এগিয়ে নিতে পারি সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আইটি সেক্টর বাড়ছে কিন্তু সেটি এখনও করের চাপ নেওয়ার জন্য তৈরি নয়। উৎপাদন খাতে দক্ষ জনবলের ঘাটতি আছে। এনবিআর কর নীতি পরিবর্তন না করলে সামনের বছর আরও ট্যাক্সের পরিমাণ কমবে। এটি একটি আনফেয়ার নীতিতে চলছে।’
বিনিয়োগের জন্য কী শুধুই শিক্ষা ব্যবস্থা দায়ী? করের চাপে শিল্পখাত উল্লেখ করে সরকারি-বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, ‘করনীতি আর মুদ্রানীতির চাপে জর্জরিত প্রতিষ্ঠান। আগামী ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত থাকা কর অবকাশ সুবিধা বাতিল করা হলে রাজস্ব আয় কমবে। একইসঙ্গে জিডিপিতে চাপ পড়বে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বিনিয়োগ ও শিল্প বিকাশে ট্যাক্স ইনসেন্টিভ থাকা যৌক্তিক বলে মনে করি। দুই বিলিয়ন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা রপ্তানি সন্তোষজনক নয়, এটি এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলামেও অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন।’
উৎপাদন খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি, উদ্ভাবনে বিনিয়োগ, নিজস্ব ডাটা সেন্টার স্থাপন, কৃষি ও পোশাক খাতে প্রযুক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি ও গবেষণার পাশাপাশি সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।