সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে।
ভোমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এ পদক্ষেপকে ‘একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ভোমরা সিএন্ডএফের সভাপতি মো. আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মুছা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ভোমরাকে কাস্টমস হাউজ ঘোষণার মাধ্যমে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। আমরা সরকারের এ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’
তারা বলেন, ‘ভোমরা এখন দেশের অন্যতম ব্যস্ততম স্থলবন্দর। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালিত হয় এ বন্দরের মাধ্যমে। কাস্টমস হাউজে উন্নীত হওয়ার ফলে প্রশাসনিক সক্ষমতা, জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়ন হবে- যা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), কাস্টমস বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছে, সরকারের এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ভোমরা কাস্টমস হাউজ অচিরেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হবে এবং জাতীয় রাজস্ব আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে খাদ্য পণ্য, নির্মাণ সামগ্রী, পোশাক ও কসমেটিকসসহ নানা পণ্য আমদানি হয়। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় কৃষিপণ্য, মাছ ও শিল্পজাত দ্রব্য।
আরও পড়ুন:
‘কাস্টমস হাউজ’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে এখন থেকে এখানে পূর্ণাঙ্গ রাজস্ব প্রশাসন, শুল্ক নির্ধারণ, আমদানি-রপ্তানি নথি যাচাই ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার সব কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে সম্পন্ন করা যাবে। এতে সময়, খরচ ও প্রশাসনিক জটিলতা কমবে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণ সরকারের এ সিদ্ধান্তে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের বিশ্বাস- এ ঘোষণা শুধু ভোমরা বন্দর নয়, গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দেবে।





