২০২৪ সালের জুনে সীমিত পরিসরে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে কার্যক্রম শুরু করে বিদেশি অপারেটর সৌদি আরবের রেড সি গেইটওয়ে। তবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতার কারণে এতদিন শুধু রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হতো।
আমদানি কনটেইনার পুরোপুরি হ্যান্ডলিংয়ের জন্য স্ক্যানার স্থাপন করেছে অপারেটর। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শতাধিকের বেশি আমদানি কনটেইনার খালাস করেছে দুটি জাহাজ। ঈদের পর পুরোদমে আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়বে এই টার্মিনালে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আরো কিছুদিন পর থেকে তাদের কাজ শুরু হবে পুরোপুরিভাবে। আমদানি-রপ্তানিতে তাদের কার্যক্রম ব্যবহার করবে। ঈদের পরে হয়তো কাজ শুরু হবে।’
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আরএসজিটি ২২ বছরের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। বর্তমানে ৫ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা থাকলেও, চালুর পর প্রথম ৯ মাসে ৪০ হাজার টিইইউএস হ্যান্ডলিং করেছে টার্মিনালটি। তবে গ্যান্ট্রি ক্রেন না থাকায় এখন শুধু গিয়ার্ড বা ক্রেনযুক্ত জাহাজই ভিড়তে পারছে টার্মিনালে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পুরোদমে চালু হলে পণ্য খালাস ও ডেলিভারি দ্রুত হবে, যা চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমাবে, হ্রাস পাবে পণ্য পরিবহন ব্যয়।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোটস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আমদানি কনটেইনার রুহুল আমিন শিকদার বলেন, ‘এতদিন ডেলিভারি দিতে পারতো না কারণ স্কানার ছিল না।’
নতুন এই উদ্যোগ বন্দরের কনটেইনার জট কমানোর পাশাপাশি আমদানি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।