আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে তামাবিল স্থলবন্দরের রাজস্ব আয়ও নিম্মমুখী

গেল ৩ মাসে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় বন্দরটির রাজস্ব আয় কমেছে প্রায় অর্ধেক। স্বাভাবিকের তুলনায় বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যে কম হওয়ায় অর্থনৈতিক ভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়িক সংকট সমাধানে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন তারা।

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরকে পূর্ব সিলেটের অর্থনীতির অন্যতম হাব বলা হয়ে থাকে। এই স্থল বন্দর দিয়ে মূলত পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানি হয়ে থাকে। আর রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে খাদ্য সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, সিমেন্ট ও কাঠের বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ ইলেকট্রিক পণ্য।

এই বন্দরে কয়েকমাস আগেও প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হলেও বিগত ৩ মাসে দেশের চলমান সংকটে স্থলবন্দরগুলোতে আমদানি রপ্তানি কমেছে অস্বাভাবিক হারে। নানা চড়াই উৎড়াই পার করে যারা পণ্য আমদানি করছেন তারাও তা বিক্রি করতে পারছেন না। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় অর্থ সংকটে স্থানীয় শ্রমিকরাও। তারা বলছেন, বন্দরে আগের চেয়ে কাজ কমে যাওয়ায় এই সংকট তাদের।

ব্যবসাবান্ধব পরিস্থিতি না থাকায় কেবল যে ব্যসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাই নয় বরং সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত জুনেও তাদের রাজস্ব আয় ২ কোটি ২৫ লাখ হলেও আগস্টে এসে সেটি ৭৪ লাখে দাড়িয়েছে। সংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত চেষ্টা চলছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কমে যাওয়ায় তামাবিল স্থল বন্দরে চলতি বছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর