আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

পুরোপুরি ইন্টারনেট সেবা না পাওয়াতে বিড়ম্বনায় আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা

আমদানি-রপ্তানির সাথে যুক্ত সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এখনো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি। বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে শিপিং এজেন্ট থেকে ডিও নিতে পারছে না আমদানিকারকরা। পাশাপাশি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অনলাইনে শুল্ক পরিশোধে। এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের সার্ভার ডাউন থাকায় অনলাইনে আমদানি পণ্য চালানের ডকুমেন্ট দাখিলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

গতকাল সীমিত পরিসরে নিজস্ব লেইনের কানেক্টিভিটি দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় অ্যাসাইকুডা ওয়াল্ডের সার্ভার চালু করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। এতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও সার্ভার ডাউন থাকা এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম।

আজ (বুধবার, ২৪ জুলাই) সকালে অনলাইনে কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সার্ভিস সেন্টারে নির্দিষ্ট চারটি কম্পিউটার থেকে কিছু বিল অব এন্ট্রি বা আমদানি পণ্য চালানের ডকুমেন্ট দাখিল করা গেলও এক ঘণ্টা পর সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কাস্টম হাউসের বাইরে নিজেদের অফিস থেকে ডকুমেন্ট দাখিল করতে পারছে না সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। শুল্ক পরিশোধ ও শিপিং ডেলিভারি অর্ডার পেতেও সমস্যা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, 'এই সার্ভারের সাথে ৪টা কানেকশন আছে। এগুলো দিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে সেবাপ্রার্থীদের তুলনায় কানেকশন কম হওয়ায় কিছুটা জট আছে।'

যদিও এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বলছে, দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ও সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক রাখতে তারা ম্যানুয়ালি ও বিশেষ ব্যবস্থায় কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকায় শুধু পণ্য চালানের শুল্কায়ন করলেই হবে না, শিপিং এজেন্টদের ডেলিভারি অর্ডার, শুল্ক পরিশোধ ও পরিবহন ছাড়া পণ্য ডেলিভারি সম্ভব হবে না।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার তারিক হাসান বলেন, 'বাণিজ্য সংশ্লিষ্টদের সাথে মোবাইলে সারাক্ষণ সমন্বয় হচ্ছে। যারা আমাদের কাছে সমস্যা নিয়ে এসেছে, আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রত্যেকটা সংস্থা চেষ্টা করছে সরবরাহ গতিশীল রাখার।'

গতকাল সার্ভার চালুর পর আমদানি ও রপ্তানি মিলে মোট ৯৯৩টি পণ্য চালানের শুল্কায়ন হয়েছে। আগে দাখিল করা বিল অব এন্ট্রিসহ মোট ৩ হাজার ৮২৩টি পণ্য চালানের শুল্কায়ন করা হয়েছে।

প্রতিদিন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস গড়ে আড়াইশো থেকে তিনশ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯২শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর