বেশকিছু দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের বাজার। কয়েকদিনে জরুরি এই পণ্য দুটির দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। তবে সাপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটিতে বন্দর বন্ধ থাকলেও বাজার স্বাভাবিক রাখতে হিলিবন্দর দিয়ে দৈনিক ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ২০-২৫ ট্রাক কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ।
দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কারণে শুল্কায়ন জটিলতায় অন্যান্য পণ্যের আমদানি বন্ধ থাকলেও চালানের মাধ্যমে শুল্কায়ন করে ছাড় করানো হচ্ছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ। এরই মধ্যে বাজারে এসব পণ্য প্রবেশ করার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কেজিপ্রতি কাঁচামরিচের দাম কমেছে ১শ’ থেকে ১২০ টাকা।
তবে চলমান পরিস্থিতিতে এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
আমদানিকারকদের একজন বলেন, ‘ব্যবসায়ী আমদানি হলেও আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে পারছি না। চলমান পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাড়া তুলনামূলকভাবে বেড়ে গিয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, বাজার স্বাভাবিক রাখতে কাস্টমস ও ব্যাংকের সাথে সমন্বয় করে কাঁচাপণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, 'হিলি কাস্টমস কাস্টমস ও ব্যাংকের সাথে সমন্বয় করে কাঁচাপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এতে করে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।'
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, 'কাঁচাপণ্য দ্রুত ছাড়করণে সব ধরনের নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।'
গেল দু'দিনে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আর প্রায় ৫শ' টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি বন্দর দিয়ে।