বাংলাদেশের চা- 'দ্য স্টার অব বেঙ্গল' জাপানের বাজারে সমাদৃত। রয়েছে চিংড়ি, চামড়া ও তৈরি পোশাকের চাহিদাও। দু দেশের বাণিজ্যের মূল সেতু গ্যাট ও মুক্ত বাজার নীতি-অনুশাসনে। দেশের বিনিয়োগ খাতে রাসায়নিকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে দেশটির। এছাড়া মেটাল, টেক্সটাইল ও ইলেক্ট্রনিক্স প্রযুক্তিকে প্রতিদিন নতুন মাত্রায় ছাড়িয়ে যাওয়া দেশটির বিনিয়োগ চোখে পড়ার মতো। তবে এবার কৃষি ও খাদ্যপণ্যে বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে দেশটির ব্যবসায়ীদের। এছাড়া ভুটান, চীন ও ভারতের মতো ইন্দোনেশিয়াও আগ্রহ দেখাচ্ছে এই খাতে।
আজ (সোমবার, ১৫ জুলাই) সেই আগ্রহ নিয়েই জাপানের মিৎসুবিসি করপোরেশন ও ইন্দোনেশিয়ার আলফামার্ট কৃষি ও খাদ্যপণ্যে যৌথভাবে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বিডার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
জাপান-ইন্দোনেশিয়ার বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলের সাথে সালমান এফ রহমান। ছবি: এখন টিভি
প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনায় বিশ্ববাজারে দেশিয় কোম্পানির সফলতা তুলে ধরা হয়। এছাড়া ভারত চীনের অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যে বিনিয়োগ করে লাভবান হচ্ছে বলেও জানান। তবে আমদানি পণ্যে উচ্চ শুল্কারোপ চলছে। ফলে আমদানি কাঁচামাল এবং ফিনিশিং পণ্য আমদানি অনুৎসাহিত করছে সরকার। তাই দেশিয় কৃষিপণ্যকে মূল উৎস করে রপ্তানিকে প্রাধান্য দেয়ার আহবান জানান সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, 'আমরা এই মুহূর্তে ফিনিশিং পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করছি। আমরা এর পরিবর্তে দেশিয় পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে চাই। পণ্য উৎপাদনে দেশিয় উৎস ও কাঁচামাল ব্যবহারকে প্রাধান্য দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।'
বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় অনেক দেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে দেশের জন্য লাভজনক ও স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই আলোচনা চলছে বলে জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, 'খাবারে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে আরও যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন।'
জাপান ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার বাজারে ওষুধ, পাট, জুতা চামড়াজাত পণ্য, কৃষি ও পোলট্রির বাজারে রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ।