আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, ফার্নিচার ও খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। সেখান থেকে রপ্তানি পণ্য সরবরাহ হয় পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে।
বর্তমানে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশি যাচ্ছে হিমায়িত মাছ ও সিমেন্ট। প্রতিদিন অন্তত ৫০ টন পাঙ্গাস, পাবদা ও কাতলসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং প্রায় ৭০ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। আর প্রতিটন মাছ আড়াই হাজার ডলার এবং প্রতিটন সিমেন্টের রপ্তানি মূল্য ৮৬ ডলার পর্যন্ত। সব মিলিয়ে দিনে প্রায় ২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় বন্দর দিয়ে।
সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪২৮ কোটি টাকার পণ্য। যা বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৫১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বেশি। বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৭ কোটি টাকার পাথর, পেঁয়াজ, আদা ও জিরা। এ থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তবে রাজস্ব বাড়লেও নানা সংকটে আমদানি কমার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া রপ্তানি আরও বাড়াতে ভারতে নতুন পণ্যের বাজার খুঁজছেন তারা। জিএফএক্স দুই অর্থবছরের আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আয়ের চিত্র।
আখাউড়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হাসিবুল হাসান বলেন, 'ব্যবসায়ীরা যদি সকল পণ্য আমদানির সুযোগ পায় তাহলে হয়তো যেকোনো পণ্য এখানে ঢুকে যেতে পারে। রপ্তানি বাড়ানোর জন্য তো আমরা সব সময় নতুন নতুন পণ্যের সন্ধান করি।'
রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি দ্রুত ছাড়াকরণের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের অফিস থেকে ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হয়। রপ্তানিকরণে ব্যবসায়ীদের সব সময় উৎসাহিত করি। কারণ এটা রাষ্ট্রের জন্য খুব দরকারি।'
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাণিজ্য বাড়ায় গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আখাউড়া স্থলবন্দর। আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার থেকেও রাজস্ব আয় করে সরকার। বিদায়ী অর্থবছরে ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব এসেছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা।