আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

হিলি স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয়

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি। করোনার পর থেকে রাজস্ব আদায়ে কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তবে সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিগত বছরগুলোর তুলনায় আমদানি কম হলেও রাজস্ব আয়ে প্রভাব না পড়ায় বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন বিগত অর্থবছরের তুলনায় সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছিল, যেখানে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়া হয় ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয় মাত্র ৪২৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যাতে ঘাটতি রয়ে যায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা।

আর সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টন পণ্য আর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬২৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। যেখানে কাস্টমস আদায় করেছে ৬৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আমদানি কম হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে এই অর্থবছরে।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয় পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, কাঁচা মরিচ, গমের ভুসি, মসুর ডাল, ছোলা, এলাচ, পাথর, নারিকেল, তেঁতুল বীজ, চাল, চিটাগুড়সহ নানা পণ্য।

হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার বলেন, 'হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বিগত সময়ের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ অনেক কম। তবে আমদানি কম হলেও আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এর মূল কারণ হলো শুল্কযুক্ত পণ্য বেশি আমদানি। জিরা আমদানি থেকে রাজস্বের বড় একটি অংশ অর্জন সম্ভব হয়েছে।'

এছাড়া বন্দর দিয়ে শুল্কযুক্ত পণ্য যত বেশি আমদানি হবে, রাজস্বের পরিমাণ তত বাড়বে বলেও জানান তিনি।