আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি

ওজনে গড়মিলে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক রপ্তানি

ওজনে সামান্য গড়মিল, টাইপিংয়ে ভুল ও এইচএস কোড জটিলতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তৈরি পোশাক রপ্তানি। বিজিএমইএ'র তথ্যমতে, তৈরি পোশাক পিস হিসেবে রপ্তানির কথা থাকলেও গত দুই বছর আইসিডিতে কার্টন খুলে পোশাকের ওজন পরিমাপ করছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

৪০ বছরে একটু একটু করে এগিয়ে দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে তৈরি পোশাক। যেখান থেকে বছরে রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার। তবে এই খাত নিয়ে অভিযোগ বেড়েই চলেছে রপ্তানিকারকদের।

বৈশ্বিক মন্দায় অর্ডার ও মূল্যহ্রাসের চ্যালেঞ্জের সাথে যোগ হয়েছে কাস্টমসের হয়রানি। এমন প্রেক্ষাপট এই খাতকে সংকটে ফেলছে। বুধবার (১৫ মে) ওজনে গড়মিল ও এইচএস কোড নিয়ে হয়রানি নিরসনে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাথে মত বিনিময় সভা করেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

সভায় রপ্তানিকারকরা বলেন, কাস্টমস যেভাবে পোশাকের ওজন পরিমাপ করছে সেটা সঠিক নয়। বিশেষ করে ওভেন কাপড় মিটারে ওজন করা হয়। ওজনে গড়মিলের কারণে চালান আটকে দেয়ায় জাহাজ মিস হচ্ছে। যাতে বাতিল হচ্ছে অর্ডার। আবার কখনো দাম কমিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা। যাতে ব্যবসা চলে যাচ্ছে ভারত ও নেপালের হাতে।

বিজিএমইএ'র সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, 'আপনারা ভালো অফিসার, আপনাদের কাছে আমরা একটি সহযোগিতা চাই। হয়রানি বন্ধ করতে হবে।'

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, 'ভারত-নেপাল কিন্তু আমাদের ব্যবসাটা ধরে ফেলতে চাচ্ছে। এটার জন্য ওখানকার সরকারি কর্মকর্তারাও উঠে পড়ে লেগেছে। এতে আমাদের বায়াররাও বিরক্ত। তারা জানে আমাদের এখানে কাস্টমসে কী কী অসুবিধা হয়।'

সভায় অতীতে এই খাত কখনো এতো হয়রানির শিকার হয়নি বলে অভিযোগ করেন রপ্তানিকারকরা । বলেন, শিপ মিস হওয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চালান আটকে ফায়দা লুটছে কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তা।

বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, 'ওজন সঠিকভাবে করতে না পারলে ব্যবসায়ীরা হয়রানি শিকার হবে। আমরা সব সময় আপনাদের কাছে যেতে পারবো না। আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি করতে হয়।'

চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফাইজুর রহমান বলেন, 'সার্বিকভাবে রপ্তানিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। অর্থ পাচার রোধের ওজনে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের লোকজন সিরিয়াস হয়েছে।'

কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়া যেন সবাই রপ্তানি করতে পারেন সেজন্য সভায় একটি নতুন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়। এক্ষেত্রে যারা বন্ডের অপব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন রপ্তানিকানকরা।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর