মাছ রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২১তম। তবে উৎপাদন বাড়লেও রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৭.৩৯ কোটি ডলারের হিমায়িত ও তাজা মাছ রপ্তানি করা করেছে বাংলাদেশ।
তবে এ সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩১ দশমিক ১৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রথম আট মাসে লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি ২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
হিমায়িত ও জীবন্ত মাছের মধ্যে বেশি রপ্তানি হয়েছে চিংড়ি। যা থেকে আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি মার্কিন ডলার। তবে হোয়াইট গোল্ড খ্যাত এ মাছেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৬ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। চিংড়ি হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন বলছে ,নোনাপানির ঘের কমে যাওয়া, চিংড়ির উৎপাদনে ঘাটতি, সঠিক পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় চিংড়ি রপ্তানি কমছে দিন দিন।
তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান দাবি করেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'এ অন্ধকারকে কাটিয়ে আমরা সকালের সূর্য দেখতে চাই। শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে আমরা অবশ্যই সেই আলো দেখবো। বাংলাদেশ ১৫ হাজার কোটি টাকার রপ্তানির যে লক্ষ্য নিয়েছে, তা পূরণ হবে।'
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও'র 'দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২২' বৈশ্বিক প্রতিবেদনের তথ্যনুযায়ী মিঠাপানি ও চাষের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।