বিশেষ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাস বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দেখা করে দেশটি থেকে ক্যানোলা অয়েল আমদানি করার প্রস্তাব দিলে এ নিয়ে কৌতুহল জেগেছে, আসলে ক্যানোলা ওয়েল কেমন, এবং এটি মানবদেহের জন্য কতটা উপকারী।
সচিবালয়ে কানাডিয়ান ওই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, 'ক্যানোলা অয়েল হচ্ছে সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত তেল। ওটার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেটার কথা বলেছেন হাইকমিশিনার। অনেক হাই ট্যারিফ আছে। তবে সবকিছু আমরা বিচার করে দেখছি।'
সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সাথে কানাডিয়ান কর্মকর্তাদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত
কিন্তু ক্যানোলা তেল কেমন?
মূলত ক্যানোলা দেশের সরিষার মতই একটি শস্যকরী ফসল। বলা যায় এটি কানাডার প্রধান একটি অর্থকরী ফসল। বিভিন্ন উৎসের হিসাবে দেখা গেছে, কানাডা প্রতি বছরে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন ক্যানোলা উৎপাদন করে যেখানে সয়াবিন উৎপাদন হয় মাত্র ৬ দশমিক ৫ টন।
ক্যানোলা তেল রপ্তানির দিক থেকেও শীর্ষ দেশ কানাডা। দেশটি থেকে প্রতি বছরে প্রায় ২৯ লাখখ মেট্রিক টন ক্যানোলা রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে। এবং এক্ষেত্রে কানাডার প্রধান ক্রেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এসব উপাত্তে সহজেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী তো ক্যানোলা তেলের চাহিদা আছেই কানাডায়ও এই ভোজ্য তেলটি জনপ্রিয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পর্যবেক্ষণ করা বিভিন্ন সাইট ঘেটে দেখা গেছে টন প্রতি ক্যানোলার আমদানি মূল্য প্রায় ৬৫৫ মার্কিন ডলার, যা সয়াবিনের চেয়ে বেশি।
ক্যানোলা তেল কি সয়াবিনের চেয়ে স্বাস্থ্যকর?
বেশির ভাগ বিশ্লেষকই সয়াবিনের চেয়ে ক্যানোলার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, ক্যানোলা তেল অপেক্ষাকৃত ভারী যা সহজে ভাঙে না। ক্যানোলা তেলে ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাট বা চর্বি বহন করে যা মানব শরীরের জন্য উপকারী। এসব উপাদনের উপস্থিতি সয়াবিন তেলে নেই।