পণ্যের ঊধ্বর্মুখী দামে দিশেহারা ক্রেতারা। এ নিয়ে প্রশাসন অভিযান চালালেও লাগাম টানা যাচ্ছে না বাজারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার চট্টগ্রামে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ক্ষোভ ঝাড়েন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। বাজারে অভিযান জোরদার করতে নির্দেশনা দেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে অভিযানে নামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম। কয়েকটি বাজারে ডিও প্রথায় জড়িত মধ্যসত্ত্বভোগীদের খুঁজতে চলে অভিযান। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে এসময় দোকান বন্ধ করে দেন অনেকে।
ডিও ব্যবসা, রসিদ না রাখা, কৃষি পণ্য বিক্রির লাইসেন্স না থাকা, পণ্যের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ না থাকাসহ নানা অপরাধে তিন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে তারা ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী তারা এ কাজগুলো করছেন। আমরা এখানে অদৃশ্য সিন্ডিকেট পাইনি। যদি সিণ্ডিকেট পাই তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
অভিযানে অংশ নেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, খাতুনগঞ্জে স্লিপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে অনেকে। হাত বদলে এসব মধ্যস্বত্তভোগীরাই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। অভিযানে তাদের ধরা যাচ্ছেনা।
তবে ব্যবসায়িদের দাবি, বড় বড় কয়েকটি গ্রুপ খাতুনগঞ্জে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতো। গেল ৫ আগস্টের পর তাদের আমদানি ও সরবরাহ কমায় কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকের এলসি সহজিকরণ ও বড় গ্রুপগুলোকে আমদানিতে উৎসাহিত করে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি পাইকার ব্যবসায়ীদের।