আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে পণ্য আমদানি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে পণ্য আমদানি। যা গেল অর্থ বছরের চেয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজর ৩২০ টন কম। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব কমেছে প্রায় ৩২৮ কোটি টাকা।

প্রতিবেশি দেশ ভারতের সাথে স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য তার সিংহভাগই হয় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩২৮ কোটি টাকা কম।

এছাড়া গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানি হয়েছিল ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫১৩ টন পণ্য আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ টন। যা গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২০ টন কম পণ্য আমদানি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দা, হরতাল-অবরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, ডলার সংকটে খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানিতে চাহিদা মত এলসি খুলতে না পারায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

আমদানিকারক অনিল বিশ্বাস বলেন, 'হরতাল অবরোধ এবং ডলার সংকটের কারণে ঠিকমতো এলসি খুলতে না পারায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ধীরগতি হয়ে পড়েছিল যার প্রভাব সরকারের রাজস্ব খাতেও দেখা গেছে।'

২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৪৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে বছরে রাজস্ব আদায় কম হয়েছিল ২ হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবছর রাজস্ব আহরণ কিছুটা বেড়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল বলেন, 'এলসি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণ কমেছে। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবছর রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। আশা করি আগামী ছয় মাসে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।'

অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বে রাজস্ব আদায় ও পণ্য আমদানি কম হলেও ডলারের সংকট ও ঠিকমতো এলসি খুলতে পারলে বছর শেষে এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব বলছে বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

এসএস